জেনেভা (4 আগস্ট 2020) - ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার এক বছর পরে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা * আজকে ভারত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অঞ্চলে উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
"জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন," বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। "যদি ভারত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কোন সত্যিকারের এবং অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঐতিহাসিক এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির তদন্ত এবং ভবিষ্যতে লঙ্ঘন প্রতিরোধে তাদের দায়বদ্ধতা পূরণ না করে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।"
যেহেতু ভারতীয় সংসদ 5 আগস্ট 2019 এ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে, “ মানবাধিকার জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি অবাধ পতনের মধ্যে রয়েছে,” বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। "আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে COVID-19 মহামারী চলাকালীন, অনেক বিক্ষোভকারী এখনও আটকে রয়েছে এবং ইন্টারনেট বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে।"
জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সরকারকে চিঠি দিয়ে প্রায় এক বছর হয়ে গেছে প্রকাশ্যে বলা হয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যের অ্যাক্সেস এবং 05 আগস্ট 2019 ঘোষণার পর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর ক্র্যাকডাউন শেষ করতে ভারতে। অভিযুক্তদের নিয়ে ভারত সরকারের কাছেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা নির্বিচারে আটক এবং নির্যাতন এবং খারাপ আচরণ যার জবাব সরকার সম্প্রতি দিয়েছে, সেইসাথে পরিস্থিতি কভার করা সাংবাদিকদের অপরাধীকরণ এবং একজন হাই প্রোফাইল মানবাধিকার আইনজীবীর আটক এবং স্বাস্থ্যের অবনতি.
"আমরা এখনও চারটি চিঠির মধ্যে তিনটির কোনো উত্তর পাইনি," বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অক্টোবর 2019 বন্ধ, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা প্রতিকার চাইতে পারে এমন কয়েকটি উপায়ের মধ্যে একটি ছিল, বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। তদুপরি, 1989 সাল থেকে শুরু হওয়া শত শত সন্দেহভাজন বলপূর্বক নিখোঁজের ঘটনা সহ দেহটি যে চলমান মামলাগুলি তদন্ত করছে সেগুলির কী ঘটবে সে সম্পর্কে জনসাধারণকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। হাজার হাজার অচিহ্নিত এবং কিছু গণকবরের স্থান সম্পর্কিত অভিযোগও নেই। এখনও সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে.
"দশক ধরে, পরিবারগুলি এখনও যন্ত্রণার মধ্যে অপেক্ষা করছে এবং এখন নতুন অভিযুক্ত অধিকার লঙ্ঘনের একটি প্রবাহ রয়েছে," বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। "কোন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং ইন্টারনেট বিধিনিষেধ ছাড়াই, রিপোর্ট করার উপায়গুলি আরও হ্রাস করা হয়েছে।"
2011 সালে, ভারত বিশেষ র্যাপোর্টারদের দেখার জন্য উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বেশ কিছু অনুরোধ মুলতুবি রয়েছে। তারা বলেন, “আমরা ভারতকে জরুরী বিষয় হিসাবে মুলতুবি থাকা সফরের সময়সূচী করার জন্য আহ্বান জানাই, বিশেষ করে বিশেষজ্ঞদের যারা নির্যাতন ও নিখোঁজের বিষয়ে কাজ করছেন”।
